এক নজরে আখ চাষ
উন্নত জাতঃ ঈশ্বরদী ১-৫৩, ঈশ্বরদী ২-৫৪, লতারি জবা-সি, ঈশ্বরদী ১৬, ঈশ্বরদী ১৭, ঈশ্বরদী ২০, ঈশ্বরদী ২১, ঈশ্বরদী ২২, ঈশ্বরদী ২৪, ঈশ্বরদী ২৫, ঈশ্বরদী ২৬, ঈশ্বরদী ২৭, ঈশ্বরদী ২৮, ঈশ্বরদী ২৯,ঈশ্বরদী ৩০, ঈশ্বরদী ৩১, ঈশ্বরদী ৩২, ঈশ্বরদী ৩৩, ঈশ্বরদী ৩৪, ঈশ্বরদী ৩৫, ঈশ্বরদী ৩৬, ঈশ্বরদী ৩৭, ঈশ্বরদী ৩৮, ঈশ্বরদী ৩৯, ঈশ্বরদী ৪০, বিএসআরআই আখ ৪১, বিএসআরআই আখ ৪২, ঈশ্বরদী ৪৩, বিএসআরআই আখ ৪৪, বিএসআরআই আখ ৪৫, বিএসআরআই আখ ৪৬ ইত্যাদি রবি মৌসুমে চাষ উপযোগী ।
পুষ্টিমান : শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায় ফলে কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আখের রসে পটাশিয়াম আছে যা হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া অন্যান্য পুষ্টিগুণ যেমন , খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি রয়েছে ।
বপনের সময়ঃ রবি ( নভেম্বর ) উপযুক্ত সময় ।
চাষপদ্ধতি: মাটির প্রকার ভেদে ৪-৬ টি চাষ ও মই দিতে হবে। প্রথম চাষ গভীর হওয়া দরকার। এতে সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাজনক, পরিচর্যা সহজ, এবং সেচের পানির অপচয় কম হয়। সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। লাইন থেকে লাইন ৪০ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারা ১২ ইঞ্চি দূরে লাগাতে হবে।
বীজের পরিমানঃ প্রতি শতকে ১-২ কেজি, ২ চোখ বিশিষ্ট।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম |
হেক্টর প্রতি সার |
ইউরিয়া |
২৪০-৩২৫ কেজি |
টিএসপি |
১৫০-২৫০ কেজি |
এমওপি |
২৩০-২৬০ কেজি |
জিপসাম |
১৪০-১৯৫ কেজি |
জিঙ্ক সালফেট |
৭-১০ কেজি। |
কৃষি পরিবেশ অঞ্চল অনুযায়ী মাটির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদনশীলতা বিভিন্ন রকম হওয়ায় সারের মাত্রায় কিছুটা তারতম্য হতে পারে। বেলে ধরনের মাটিতে রোপার আগে রোপণ নালায় পুরা ডিএপি/ টিএসপি, জিপসাম ও জিঙ্ক সালফেট এবং তিন ভাগের এক ভাগ ইউরিয়া ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। বাকি ইউরিয়া ও এমওপি সমান দুই ভাগে রোপণের ১২০-১৫০ দিনে এবং এর ১ মাস পর সারির ২ পাশে প্রয়োগ করে ফসলের গোড়ায় মাটি তুলে দিন।
এঁটেল ধরনের মাটিতে রোপার আগে রোপণ নালায় পুরা ডিএপি/ টিএসপি, জিপসাম ও জিঙ্ক সালফেট প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি রোপণের ২০-৩০ দিন পর চারার গোড়ার চার পাশে এবং ১২০-১৫০ দিন পর সারির ২ পাশে প্রয়োগ করে ফসলের গোড়ায় মাটি তুলে দিন। ডিএপি সার ব্যবহার করলে প্রতি ১০ কেজি ডিএপির জন্য ৪ কেজি ইউরিয়া দিন।
সেচঃ আখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য মাটিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে তা আখের ফলনের উপর বিরম্নপ প্রভাব ফেলে। সে জন্য প্রয়োজনমতো সেচ প্রয়োগ করা যেতে পারে। আগাম আখ চাষের জন্য ৫ টি সেচ প্রয়োগ করে আখের ফলন উলেস্নখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে আখ রোপণের ১-৭, ৩০-৩৫, ৬০-৬৫, ১২০-১২৫ এবং ১৫০-১৫৫ দিন পর যথাক্রমে ২.০০, ৩.৫০, ৪.৩ এবং ৫.৫০ ইঞ্চি গভীরতায় সেচ প্রয়োগ করতে হবে। তবে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হলে ঐ সময় সেচ না দিলেও চলবে।
আগাছাঃ জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন ।সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়িয়ে আগাছা বাছাই। মাটির অগভীরে আগাছার শিকড় নিড়ানি, কোদাল, লাঙ্গল দিয়ে ও হাতড়ে তুলে শুকিয়ে মেরে ফেলুন ।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ খুঁটি মেরামত করে মজবুত করে নিন। নিষ্কাশন নালা প্রস্তত রাখুন।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবেনা। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫দিন পর বাজারজাত করুন।
ফলনঃ জাতভেদে শতক প্রতি ফলন ৪০০-৪৫০কেজি।
সংরক্ষণঃ আঁটি বেঁধে বা প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করুন ।