ফসল : করলা

পোকার নাম : ফলের মাছি পোকা

পোকা চেনার উপায় : মাঝারি সাইজের

ক্ষতির ধরণ : ১। স্ত্রী মাছি ফলের সাধারণত নিচের দিকে চামড়া/খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ডিম পাড়ে এবং (ক) পানির মতো কষ বের হয়,পরে শুকিয়ে বা বাদামি আঠা হয়ে জমে থাকে।(খ) এখান থেকে জীবাণু দিয়ে পচন শুরু হলে ধুসর / কালো দাগ ছড়িয়ে পড়ে। (গ) কীড়ার কালো মল দেখা যেতে পারে।(ঘ) ধীরে ধীরে ফল পচতে থাকে। (ঙ) কচি ফল লাল হয়ে ঝরে পড়ে। বাড়ন্ত ফল বিকৃতি আকার ধারণ করে।

আক্রমণের পর্যায় : ফলের বাড়ন্ত পর্যায় , ফুল

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

পরিছন্ন চাষাবাদ করুন। ভালভাবে জমি চাষ করে পোকার ডিম, কীড়া সূর্যালোকে নষ্ট এবং পিঁপ্ড়া ,খাদক পাখিদের খাবার সু্যোগ করে দিন। নিয়মিত ফসল পর্যবেক্ষণ এবং স্ত্রী ফুল ফুটার আগে ফেরোমেন ফাঁদ/বিষটোপ ব্যবহার করুন। 

সেক্স ফেরোমন ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

বিষটোপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

অন্যান্য :

ফেরোমেন ফাঁদ (১০ শতাংশে ৩টি হারে)  /বিষটোপ ব্যবহার করুন। ঠিক মতো আছে  কি না বা সময় মতো বদলতে নিয়মিত ফসল পর্যবেক্ষণ করুন।                             

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।