উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)
গড় জীবনকাল প্রায় (দিন): ১১৮
ফলনের গুণগত বৈশিষ্ট্য : ধান ও চাল লম্বা এবং চিকন, খেতে সুস্বাদু। ফলে বাজার মূল্য বেশী ও রপ্তানীর উপযোগী। চাউলে এ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪.৬%। রান্নার পর ভাত ঝরঝরে হয় এবং দীর্ঘক্ষণ রাখলে নষ্ট হয় না।
জাতের ধরণ : উফশী
জাতের বৈশিষ্ট্য :
আলোক অসংবেদনশীল এটি উচ্চ ফলণশীল, স্বল্প মেয়াদী, খরা সহিষ্ণু (৩০% পানি কম প্রয়োজন), সার কম লাগে (প্রচলিত জাতের তুলনায় ২০-৩০% কম লাগে), ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন রোপাআমন জাত। গাছ খাট ও শক্ত বলে হেলে পড়ে না । পাতা গাঢ় সবুজ ও খাড়া।লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের প্রায় সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা এবং রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোহর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়।
উচ্চতা (ইঞ্চি) : ৩৮
রোপণের সময় চারার বয়স : ২০ দিন - ২৫ দিন
লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব (ইঞ্চি ) : ৮
চারা থেকে চারার দূরত্ব (ইঞ্চি) : ৬
শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৩০ - ৩২
হেক্টর প্রতি ফলন (টন) : ৭.৫
উপযোগী মাটি : দোআঁশ, এটেল-দোআঁশ
উৎপাদনের মৌসুম : আমন
বপনের উপযুক্ত সময় :
জুন মাসের শেষ সপ্তাহ হতে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ (আষাঢ়ের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলা তৈরী করে ২০-২৫ দিনের চারা রোপন করলে ভাল ফসল পাওয়া যায়। তবে জুলাইয়ের শেষ (শ্রাবণের দ্বিতীয়) সপ্তাহ পর্যন্তও বীজতলা করা যায়।
ফসল তোলার সময় :
শীষে ধান পেকে গেলেই ফসল কাটতে হবে। অধিক পাকা অবস্থায় ফসল কাটলে অনেক ধান ঝরে পড়ে, শীষ ভেঙে যায়। শীষের শতকরা ৮০ ভাগ ধানের চাল শক্ত ও স্বচ্ছ হলে ধান ঠিকমতো পেকেছে বলে বিবেচিত হবে। মাড়াই করার পর ধান অন্তত ৪-৫ দিন রোদে ভালোভাবে শুকানোর পর ঝেড়ে গোলাজাত করতে হবে।
পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা : বাদামি গাছ ফড়িং
তথ্যের উৎস :
আধুনিক ধানের চাষ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), ২০তম সংস্করণ, জুন-২০১৭।