* বন্যা প্রবণ এলাকার জন্য সহনশীলজাত ব্রি ধান৫১ ও ব্রি ধান৫২ জাতের আবাদের পরিকল্পনা করুন। * নাবী জাতের যেমন নাইজারশাইল, বিনাশাইল, বিআর২২, বিআর২৩ ও ব্রি ধান৪৬ এর বীজতলা তৈরি করুন। * ভাসমান বীজতলা তৈরি করুন। ভাসমানবীজতলাঃ ভাসমান বীজতলা তৈরির জন্য প্রথমে বন্যার পানি, পুকুর, ডোবা বা খালের উপর বাশেঁর চাটাইয়ের মাচা বা কলা গাছের ভেলা তৈরি করতে হবে। তার উপর১-২ ইঞ্চি পুরু কাদার স্তর দিয়ে কাঁদায় বীজতলা তৈরি করতে হবে। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে বীজ জাগ দিয়ে অংকুর বের করে ঐ অংকুরিত বীজ বীজতলায় ফেলতে হবে। বীজতলা যাতে ভেসে না যায় সেজন্য খুটির সাথে বেধে রাখতে হবে।
দুর্যোগকালীন/দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি :
১। বন্যার পানি সরে যাওয়ার ৭ দিন পর পানি স্প্রে করে গাছের পাতা ধুয়ে দিতে হবে।
২। বন্যার ৭-১০ দিন পর জমি আগাছা মুক্ত করে ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ এবং বিঘা প্রতি ৩ কেজি এম ও পি সার প্রয়োগ করতে হবে।
৩। যেখানে বীজতলা করার সুবিধা নেই সেখানে বন্যামুক্ত এলাকা হতে ৩০-৪০ দিন বয়সের ধানের গুছি থেকে ২/৩ টি কুশি ভেঙ্গে নতুন জমিতে রোপন করতে হবে।
তথ্যের উৎস :
আধুনিক ধানের চাষ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), ২০তম সংস্করণ, জুন-২০১৭।