ফসল : বাঁধাকপি

রোগের নাম : গোড়া পচা রোগ/ ডেমপিং অফ

রোগের কারণ : ছত্রাক

ক্ষতির ধরণ : চারার গোড়া বা শিকড় পচে ঢলে পড়ার মাধ্যমে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে বাদামি বর্ণের পানিভেজা দাগ দেখা যায়। আক্রমণের দুই দিনের মধ্যে চারা গাছটি ঢলে পড়ে ও আক্রান্ত অংশে তুলার মতো সাদা মাইসেলিয়াম দেখা যায় ও অনেক সময় সরিষার মত ছত্রাকের অনুবীজ পাওয়া যায়। চারা টান দিলে সহজে মাটি থেকে উঠে আসে।

ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : শিকড় , গোঁড়া

ব্যবস্থাপনা :

কার্বান্ডিজম জাতীয় ছত্রানাশক যেমনঃএমকোজিম ৫০; অথবা গোল্ডাজিম ৫০০ ইসি ১০ মিলি/ ২ মুখ ১০ লি পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও মাটিতে স্প্রে করুন। আক্রমণ বোশি হলে প্রথম থেকে প্রতি লিটার পানিতে ২গ্রাম রোভরাল মিশিয়ে স্প্রে করুন। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

একই জমিতে বার বার কপিজাতীয় ফসল চাষ করবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়া পড়ে এমন জমিতে কপিজাতীয় ফসল চাষ করবেন না। পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈব সার প্রদান করুন। পানি নিস্কাশনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন। সরিষার খৈল ৩০০ কেজি/ হেঃ হারে জমিতে প্রয়োগ করা। লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করুন (প্রতি তিন বছরে একবার)। বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করে নিন।

বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।