ক্ষতির ধরণ : আক্রান্ত পাতার উপর হলদে-সবুজ ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। সাধারণত কচি পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয়। আক্রমন বেশি হলে পুরো পাতা হলুদ হয়ে ঝরে যেতে পারে।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : চারা , পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
ব্যবস্থাপনা :
জমিতে সাদা মাছি দেখা গেলে (বাহক পোকা) ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ১০ মি.লি. ২ মুখ ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে।
সকাল বেলা গাছে ছাই ছিটিয়ে দিলে এই পোকা গাছ থেকে পড়ে যাবে৷ ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রত্যায়িত বীজ ব্যবহার। নিয়মিত জমি পরিদরশন। আক্রান্ত গাছ বাছাই কালে রোগাক্রান্ত গাছের কোন অংশ যাতে ভাল গাছের সংস্পশে না আসতে পারে তা খেয়াল রাখা।
অন্যান্য :
রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথেই আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। আক্রান্ত বীজ ও বাতাসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। সাদা মাছি এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
তথ্যের উৎস :
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।