ফসল : কাঁঠাল

পোকার নাম : কাঁঠালের উঁইপোকা

পোকা চেনার উপায় : দুধের মত সাদা পিঁপড়ার মতো দেখতে। কোন কোন পোকার পাখা আছে। দলবদ্ধভাবে থাকে। রাণির দেহ বেশি বড়,প্রায় ৫-১০ সেমি লম্বা, চওড়া ১-২ সেমি

ক্ষতির ধরণ : কখনও কখনও শিকড় ও কান্ড খেয়ে ক্ষতি করে।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , শিকড়

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক

ব্যবস্থাপনা :

অতি আক্রমণে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডার্সবান ৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে কান্ডে ও গোড়ার মাটিতে স্প্রে করুন।

বালাইনাশক সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

 

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন ।পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন।নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।

অন্যান্য :

রাণী পোকাসহ উঁইপোকার ঢিবি ধ্বংস করুন।মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুঁতেখাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করে উঁইপোকাগুলো তাতে জমলে তা মেরে ফেলুন। নার্সারিতে সেচ দিয়ে কয়েকদিন পানি ধরে রাখুন ।গাছে উঁইপোকার মাটি সরিয়ে দিয়ে পোকা মেরে ফেলা সম্ভব হলে পানি দিয়ে ধুইয়ে গাছ পরিস্কার করে দিন ।

তথ্যের উৎস :

ফসলের বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও তাদের সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০০৮।