ফসল : শিম
পোকার নাম : শিমের থ্রিপস পোকা
পোকা চেনার উপায় : নরম, কালো পোকা। মাথার উকুনের মত। বাচ্চা অনুরূপ, সাদাটে।
ক্ষতির ধরণ : কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে । ফুল ও কচি ফলে আক্রমণের কারণে ফলে দাগ হয়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ডগা , কচি পাতা , ফল , ফুল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : সব , পূর্ণ বয়স্ক
ব্যবস্থাপনা :
আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমনঃ এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার/ ২ মুখ ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
পরিছন্ন চাষাবাদ করুন। সুষম সার প্রয়োগ করুন। নিয়মিত ফসল পর্যবেক্ষণ করুন। আক্রমণের শুরুতে কিছু কেরোসিন/ সাবানের গুড়া(৫গ্রাম)/ নিমের রস ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে জোরে স্প্রে করেও এ পোকা তাড়ান যায়। পেঁয়াজ,রসুন এ জাতীয় বা ধানের বীজতলা কাছে থাকলে সতর্ক থাকুন।
অন্যান্য :
সাদা রঙ আকর্যণ করে বিধায় সাদা আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করুন। ৫ গ্রাম সাবানের গুড়া ও নিমের রস ১ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
তথ্যের উৎস :
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।