ফসল : ডাঁটা শাক
পোকার নাম : লেদা পোকা
পোকা চেনার উপায় : এ পোকার ডিমগুলো গাদা করে ছাদের টাইলসের মত একটির উপর একটি সাজানো থাকে। কীড়ার মাথা লাল এবং হালকা থেকে হলুদাভ সবুজ বর্ণের। শরীরের পিঠের দিকে লম্বালম্বিভাবে সমান্তরাল তিনটি ডোরা দাগ থাকে। শরীরের উভয় পাশে দুটি লম্বালম্বি দাগ থাকে।
ক্ষতির ধরণ : এক সাথে অনেকগুলো কীড়া কপির বর্ধনশীল অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে কপির মাথা নষ্ট হয় এবং খাওয়ার অনুপযোগী হয়। পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে। এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা :
সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে, ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
আগাম বীজ বপন করুন, সুষম সার ব্যবহার করুন, সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন, চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাতুন। বড় কীড়া গুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলুন।
সেক্স ফেরোমন ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
অন্যান্য :
পোকাসহ আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা;তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা;
তথ্যের উৎস :
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা -মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী-২০১৩।