ফসল : মটরশুঁটি

পোকার নাম : ফল ছিদ্রকারী পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : কীড়া সাধারণত গাছের ডগায় এবং ফলে থাকে এবং ১-১.৫ ইঞ্চি বড় মথ।

ক্ষতির ধরণ : প্রথম দিকে গাছের কচি ডগা খেয়ে ফেলে, ফল আসলে ফলের ভেতর ঢুকে বীজ খেয়ে ফেলে।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ডগা , কচি পাতা , ফল , বীজ

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

আক্রমণ বেশি হলে কুইনালফস জাতীয় কীটনাশক (যেমন-  কোরোলাক্স ২৫ তরল ১০ মিলিলিটার অথবা ২মুখ) অথবা থায়ামিথক্সাম+ক্লোথায়ারানিলিপ্রল জাতীয় কীটনাশক (যেমন ভলিউম ফ্লেক্সি ৫ মিলিলিটার  অথবা ১মুখ ) অথবা সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার  অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কেবিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

জমিতে বাঁশের কঞ্চি বা ডালপালা পুঁতে দিতে হবে যাতে পাখি এসে পোকা খেতে পারে।

অন্যান্য :

১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম আধাভাঙ্গা নিমবীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে,  ছেঁকে আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে এই পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।

তথ্যের উৎস :

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।