ফসল : ব্রোকলি

পোকার নাম : কাটুই পোকা

পোকা চেনার উপায় : মথ মাঝারি আকারের, ধুসর রঙের, কালছে ছোপ ছোপ ডোরাকাটা। পাখায় হালকা ঝালরের মতো সূক্ষ পশম থাকে। পিঠ বরার লম্বা লম্বি হালকা ধূসর/ কালো চওড়া রেখা আছে। পুত্তলি গাঢ় বাদাম, কাটার মতো অঙ্গ থাকে।

ক্ষতির ধরণ : রাতের বেলা মাটি বরাবর চারার গোড়া কেটে দেয়। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আক্রমণের পর্যায় : চারা

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : গোঁড়া

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

আক্রমণ বেশি হলে কারটাপ জাতীয় কীটনাশক (কেয়ার ৫০ এসপি অথবা সানটাপ ৫০ এসপি  ২০ মিলি / ৪ মূখ) অথবা ল্যামডা-সাইহ্যালোথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (ক্যারাটে ২.৫ ইসি অথবা ফাইটার প্লাস ২.৫ ইসি ১৫ মিলি / ৩ মূখ) ১০ লিটার প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন   

পূর্ব-প্রস্তুতি :

গভীর চাষ দিয়ে পোকা পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন; চারা লাগানোর/বপনের পর প্রতিদিন সকালে জমি পরিদর্শন করুন; পাখি বসার জন্য জমিতে ডালপালা পুতে দিন।

অন্যান্য :

সকাল বেলা কেটে ফেলা চারার আশে পাশে মাটি খুড়ে পোকা বের করে মারুন। রাতে আক্রান্ত জমির মাঝে মাঝে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে তার নিচে কীড়া এসে জমা হবে, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলুন‌। 

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।