ফসল : লাউ

পোকার নাম : লাউয়ের মাছি পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : পুর্ণাঙ্গ পোকার আকার সাধারন মাছির মতোই হয়, পাখা স্বচ্ছ, পা হলুদ, পেট ত্রিকোনাকার ও বাদামি, ঘাড়ের মাঝে লম্বা লম্বি হলদে একটা দাগ আছে।

ক্ষতির ধরণ : স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী রং ধারন করে। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায় , ফল পরিপক্ব

পোকামাকড় জীবনকাল : লার্ভা, পূর্ণ বয়স্ক

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল , ফুল

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

অন্যান্য :

ফেরোমেন ফাঁদ (১০ শতাংশে ৩টি হারে) /বিষটোপ ব্যবহার করুন।

সেক্স ফেরোমন ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বিষটোপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।