ফসল : রসুন

পোকার নাম : রসুনের লেদা পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : এক ধরনের মথ। ডিম ফুটে সবুজ রঙের.২-২.৫ সেমি কীড়া বের হয়।

ক্ষতির ধরণ : ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে। এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায়।

দমন ব্যবস্থা : কীড়াসহ গাছ থেকে পাতা ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে পিষে পোকা মেরে ফেলতে হবে, ছড়িযে পড়া বড় কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে। এভাবে অতি সহজেই এ পোকা দমন করা যায়। ফেরোমন ফাঁদ পাতার পরও যদি আক্রমণের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে অবমুক্তায়িত করলে এ পোকার আক্রমণের হার অনেকাংশে কমে যায়। আক্রমণ বেশি হলে স্পর্শ বিষ যেমন সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (সুপারথ্রিন-১০ ইসি বা সিমবুশ-১০ ইসি বা ফেনম বা রাইসন ইত্যাদি) প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ১০ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা

পোকামাকড় জীবনকাল : কীড়া

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , কচি পাতা

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া , নিম্ফ

ব্যবস্থাপনা :

সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার  অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার।  ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

১. আগাছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ২. সুষম সার ব্যবহার করা ৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা ৪. চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। 

অন্যান্য :

প্রয়োজনে কল সেন্টার বা কৃষি বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।

তথ্যের উৎস :

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনকীটতত্ত্ব বিভাগবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট২০১৭।

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ২৩/০২/২০১৮।