জমিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি মোটা করে শুকনা কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। এক্ষেত্রে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। মালচ ছাড়া চাষ করলে জমির প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার পর জমি জো আসার পর অবশ্যই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। সেচ দেয়ার ৩০-৬০ মিনিট পর সেচ নালা খুলে দিতে হবে। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বে সেচ বন্ধ রাখতে হবে।
সেচ ও নিকাশ পদ্ধতি :
1 : জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিতে হবে। পুরো জীবন কালে মাটিতে রসের মাত্রা ৭০% এর নিচে নেমে যাবার আগে (পূর্ণ বয়সী শিকড় ৪০ সেমি) সেচ দিন। তবে গাছের বাড়নের প্রথম দিকে ৭০% এর নিচে গেলে বাড়ন ও ফলন বেশ কমে যা শিকড়ের গভীরতার ৩ ভাগের ২ ভাগ নিচের মাটি হাতের মুঠোয় নিয়ে চাপ দিলে চিকণ বুনটের মাটি /পলিময় কাঁদা জমিতে তা শক্ত ও কিছুটা আঠালো দলা হলে এবং জমিনে ফেলে দিলে না ভাংলে ২ দিন পর সেচ দিন। মাঝারি থেকে মোটা বুনটের মাটি /বেলে প্রধান জমিতে তা শক্ত ও কিছুটা আঠালো দলা হলে এবং জমিনে ফেলে দিলে না ভাংলে ১ দিন পরই সেচ দিন। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের পানি জমিতে জমতে দিবেন না। এর পর জো এলে কোদাল/নিড়ানি দিয়ে মাটির ওপরের চটা ভেঙে দিন। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বে সেচ বন্ধ রাখতে হবে।