ফসল : কলা
পোকার নাম : জাব পোকা
পোকা চেনার উপায় : খুব ছোট সবুজাভ সাদা, নরম দেহ বিশিষ্ট।
ক্ষতির ধরণ : পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়। ফলে গাছ দুর্বল হয়, পাতা কুঁকড়ে যায়, ফল ছোট ও বিকৃত হয়। এর কারনে কালো ছাতা ছত্রাক জন্মে ও ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , ফল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ
ব্যবস্থাপনা :
মোচা বের হবার আগে, মোচা বের হবার সাথে সাথে ছড়াতে, কলা পুরা বের হবার পর - এই মোট ৪ বার ডেল্টামেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন: ডেসিস ২.৫ ইসি ১০ মিলিলিটার প্রতি ১০ লিটার মিশিয়ে স্প্রে করুন। আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার /২ মুখ )১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
আগের ফসলের নাড়া বা অবশিষ্ট অংশ ভালভাবে ধ্বংস করা । আগাছা, মরা পাতা ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
অন্যান্য :
সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
তথ্যের উৎস :
ফলের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, মৃত্যুঞ্জয় রায়, ২০১৬, অনিন্দ্য প্রকাশনী।