ফসল : ধনিয়া

পোকার নাম : জাব পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : ১.০-১.৫মিমি লম্বা ও ডিম্বাকার। রং সবুজ বা গাঢ় নীল। দেহ নরম। দেহে্র পেছনে দুই পাশে সরু নালিকা আছে। দল বেঁধে ডগা ও নতুন পাতায় থাকে।

ক্ষতির ধরণ : এ পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং গাছ মরে যায়। পিঁপড়ার উপস্থিতি জাব পোকার উপস্থিতিকে জানান দেয়।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ডগা , কচি পাতা

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা ইমিটাফ অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

জমি পরির্দশণ করুন। আগাম বীজ বপন করুন। সুষম সার ব্যবহার করুন। পাতা খবার উপযোগী হলে তুলে ফেলুন। প্রথম অবস্থায় হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলুন। আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন। পরভোজী প্রাণি যেমন : লেডিবার্ডবিটল, মাকড়শার লালন করুন।

অন্যান্য :

প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা,হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা, তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা।

তথ্যের উৎস :

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনকীটতত্ত্ব বিভাগবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট২০১৭।