ফসল : পাট

পোকার নাম : কালো বিছা পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : পূর্ণ বয়স্ক মথের রঙ কালো পাখা ধূসর বাদামী রঙের পাখার উপর কালো ফোটা আছে। পিছনের পাখা জোড়া কমলা রঙের। মথের পাখার উপরের শিরা ও কিনারা বরাবর অনেকগুলো ছোট ছোট কালো ফোটা আছে এবং ফোটাগুলো একত্রে মিশে মোটা কালো দাগের সৃষ্টি করে। এ মথের কীড়া প্রাথমিক অবস্থায় রং সবুজ, ক্রমেই বাদামী ও পরে কালো রঙের হয়। এদের শরীর ঘন শুঙ্গ দ্বারা আবৃত থাকে। পুনাঙ্গ কীড়া লম্বায় ৪সেমিঃ।

ক্ষতির ধরণ : জুন মাসের প্রথম হতে জুলাই মাস পর্যন্ত আক্রমনের সময় । প্রাথমিক অবস্থায় কীড়া পাতার সবুজ অংশ খায় এবং ক্রমেই বড় হতে থাকে পরে পাতা খায় ও গাছের বৃদ্ধি প্রতিহত করে। এ পোকা গাছের গৌণ পোকা হিসেবে চিহ্নিত।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়

পোকামাকড় জীবনকাল : কীড়া

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

ডিমের গাদাসহ পাতা এবং দলবদ্ধ কীড়া সহ পাতা সংগ্রহ করে পা দ্বারা চেপে মেরে ফেলা অথবা গর্তকরে মাটিতে পুঁতে ফেলা। পাটের বিছা পোকা দমনের জন্য হেয়াজিনন বা ডায়াজিনন ৬০% ইসি, নূভাক্রন ৪০% ইসি, ইকালাক্স ২৫% ইসি ১.৫ মিলি ঔষধ ১ লিটার পানিতে বা ১৮ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা রিপকর্ড ১০% বা সিমবুশ ১০% ইসি অথবা কারাতে ১.৫ ইসি ৬ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

কালো বিছাপোকা তৃতীয় খোলস বদলানো পর্যন্ত দলবদ্ধ অবস্থা থাকে । তখন পোকাসহ পাতাগুলি তুলে পুড়িয়ে ফেলে বা কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে ডুবে মেরে ফেলা যায় ।

তথ্যের উৎস :

ফসলের বালাই বাবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, ২য় সংস্কার, ২০১৩। পাট, কেনাফ মেস্তার ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও নিয়ন্ত্রন, কামরুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম, ২০১২।