ফসল : পেঁয়াজ
পোকার নাম : পেঁয়াজের থ্রিপস পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : নেই
পোকা চেনার উপায় : এক ধরনের ২-৩ মিমি আকারের কালো রঙের পোকা।
ক্ষতির ধরণ : পোকা গাছের কচি পাতা ও ফুলের রস খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে। এদের আক্রমণের কারণে পাতায় বাদামি দাগ হয়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা
পোকামাকড় জীবনকাল : পূর্ণ বয়স্ক, কীড়া
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , কচি পাতা , ফুল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : ফেজ -১ , পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ
ব্যবস্থাপনা :
ডাইমেথোয়েট জাতীয় কীটনাশক ( রগর অথবা টাফগর ২০ মিলি অথবা ৪ মুখ )অথবা ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
আগের ফসলের নাড়া বা অবশিষ্ট অংশ ভালভাবে ধ্বংস করা। আগাছা, মরা পাতা ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষন করতে হবে।
অন্যান্য :
প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা। পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা। আধা ভাঙ্গা নিম বীজের ( ৫০ গ্রাম এক লিটার পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভেজানর পর মিশ্রণটি ছাঁকতে হবে ) রস আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। সাবানের পানি ( ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ) স্প্রে করা যেতে পারে ।
তথ্যের উৎস :
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।