পেঁয়াজ এর বীজ ও বীজতলার তথ্য

ফসল : পেঁয়াজ

বর্ণনা : হালকা দোঁ-আশ মাটিতে উপযুক্ত পরিমাণ জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে চাষ করলে পেঁয়াজ বেশ বড় ও ভারী হয় এবং সেগুলো অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে এবং প্রতি বর্গ মিটার বীজতলায় ১০-১৫ কেজি শুকনা গোবর ও ২ কেজি ছাই মিশিয়ে মাটি সমান করে জমি তৈরি করুন।

ভাল বীজ নির্বাচন :

প্রত্যায়িত বীজেরমানঃ

১। বিশুদ্ধতা ( কম পক্ষে ওজনের %): ৯৭.০০

২। অপদ্রব্য( সর্বাধিক ওজনের %): ৩.০০

৩। অন্য বীজ ( সর্বাধিক ওজনের %): ক) অন্য ফসলের  বীজ ( পরীক্ষিত নমুনার সবগুলো; সর্বাধিক % সংখ্যা):  কেজিতে ১০টি

খ) মোট আগাছার বীজ (পরীক্ষিত নমুনার সবগুলো; সর্বাধিক % সংখ্যা):  কেজিতে ১০টি

৪।গজানোর হার( কম পক্ষে  %):  ৬৫.০০

৫। আর্দ্রতা(সর্বাধিক %): ৮.০০

৬। বাস্পনিরোধক পাত্রে আর্দ্রতা (সর্বাধিক %): ৬.০০। ভাল বীজ পেকেটজাত । ট্যাগ/লেভেলে তার মান লেখা থাকে । ভাল বীজ তরতাজা /উজ্জ্বল, এর গজানোর হার ও ফলন বেশি। পাত্রের সব বীজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাভাবিক ও একই আকার-প্রকারের। চিটা ও আগাছার মাত্রা, রোগ, পোকা ও অন্য বীজের মিশাল মুক্/ নগণ্য বা খুবই কম । এতে আবাদ খরচ কমে, তবে  ফলন বাড়ে ।   

হলুদ ট্যাগ/লেভেলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে এবং সাদা/ নীল ট্যাগ/লেভেলে সরকারের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত ও পরীক্ষিত ।

বীজতলা প্রস্তুতকরণ : বীজতলা সাড়ে ৬ হাত × সোয়া ২ হাত আকারের এবং ৩-৪ ইঞ্চি উচু হতে হবে। প্রতি বীজতলায় ২৫-৩০ গ্রাম বীজ বুনতে হয়। প্রতি বিঘা জমিতে চারা উৎপাদনের জন্য সাড়ে ৬ হাত × সোয়া ২ হাত আকারের ১২০-১৩০ টি বীজতলার প্রয়োজন। বীজ বপনের আগে বীজতলা শোধন করে নেয়া উচিৎ। বীজতলার উপর ৪ ইঞ্চি মোটা করে খড় বিছিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বীজতলা শোধন করা যেতে পারে। প্রতি কেজি বীজের সাথে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করা যায়।


বীজতলা পরিচর্চা : প্রতিটি বীজতলায় ৩-৫ ঝুড়ি পচা গোবর এবং ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে এবং উপরে সামান্য কাঠের ছাই ছড়িয়ে বীজতলা তৈরী করতে হবে।

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, খন্ড-২, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর,২০১৭।