ফসল : মসুর

পোকার নাম : ফল ছিদ্রকারী পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : ফল ছিদ্রকারী পোকা

পোকা চেনার উপায় : কচি পতা, ফুল ও ডগা কীড়ায় আক্রমণ করে। ফল বাড়ার সময়ে কীড়া ফল ছিদ্র কওে নরম অংশ খায়।

ক্ষতির ধরণ : প্রথম দিকে গাছের কচি ডগা খেয়ে ফেলে, ফল আসলে ফলের ভেতর ঢুকে বীজ খেয়ে ফেলে।

ক্ষতির লক্ষণ : কচি পতা, ফুল ও ডগা কীড়ায় আক্রমণ করে। ফল বাড়ার সময়ে কীড়া ফল ছিদ্র কওে নরম অংশ খায়।

দমন ব্যবস্থা : নিয়মিত জমি পরিদর্শন করে ডিম ও কীড়া সংগ্রহ করে মেরে ফেলা। জমিতে বাঁশের কঞ্চি বা ডালপালা পুঁতে দিতে হবে যাতে পাখি এসে পোকা খেতে পারে।

আক্রমণের পর্যায় : শুরুতে, কুশি, বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়

পোকামাকড় জীবনকাল : কীড়া

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , ফল , ফুল

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

 

আক্রমণ বেশি হলে কুইনালফস জাতীয় কীটনাশক (যেমন- কোরোলাক্স ২৫ তরল ১০ মিলিলিটার অথবা ২মুখ) অথবা থায়ামিথক্সাম+ক্লোথায়ারানিলিপ্রল জাতীয় কীটনাশক (যেমন ভলিউম ফ্লেক্সি ৫ মিলিলিটার অথবা ১মুখ ) অথবা সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

অন্যান্য :

১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম আধাভাঙ্গা নিমবীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে, ছেঁকে আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে এই পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।

তথ্যের উৎস :

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনকীটতত্ত্ব বিভাগবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট২০১৭।