ফসল : আম
রোগের নাম : মুকুল ঝরে পড়া
রোগের কারণ : ১। প্রাকৃতিক কারণ ২। মাটিতে রসের অভাব ৩।পোকার আক্রমণ ৪।রোগের আক্রমণ
ক্ষতির ধরণ :
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : ফলের বাড়ন্ত পর্যায় , ফুল অবস্থায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফুল
ব্যবস্থাপনা :
১। প্রাকৃতিক কারণঃ অতিরিক্ত গুটি ঝরে না পড়লে আমের আকার ছোট হয় এবং আমের গুণগত মান ও ফলন কমে যায়। প্রতিটি মুকুলে একটি করে গুটি থাকলে সে বছর আমের বাম্পার ফলন হয়। তবে প্রতি মুকুলে আমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফুল ফোটার ১০ ও ২০ দিন পর দুইবার ১০ লিটার পানিতে ছয় গ্রাম হারে বোরিক অ্যাসিড স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আবার ফুল ফোটা অবস্থায় জিবেরেলিক অ্যাসিড প্রতি লিটার পানিতে ৫০ মিলিগ্রাম হারে স্প্রে করলে আমের গুটি ঝরা কমে যায়।
২।মাটিতে রসের অভাব হলেঃ মাটিতে রসের অভাবে আমের গুটি ঝরে গেলে গাছের চার পাশে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। আমের গুটি মটরদানার মতো হলেই প্রথমে একবার গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে। প্রথম সেচ দেয়ার পর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। সেচের পাশাপাশি হরমোন প্রয়োগ করেও আমের গুটি ঝরা কমানো যায়। যেমন, আমের গুটি মটরদানার মতো হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার অথবা প্রতি ৪.৫ লিটার পানিতে দুই মিলিলিটার হারে প্লানোফিক্স হরমোন পানিতে মিশিয়ে আমের গুটিতে স্প্রে করলে গুটি ঝরা কমে যায়।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
১। গাছে নিয়মিত পানিসেচ, পরিমিত মাত্রার জৈব সার/ কম্পোস্ট এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।
২।গাছের মরা এবং ঘন ডালপালা নিয়মিত ছাটাই করতে হবে।
অন্যান্য :
মকুল ফোটা অবস্থায় কোনোভাবেই স্প্রে করা ঠিক নয়। এ সময় প্রচুরসংখ্যক উপকারী পোকা আমবাগানে আসে এবং পরাগায়ণে সহযোগিতা করে। মনে রাখতে হবে, গাছে মুকুল আসার পর সঠিকভাবে দুইবার স্প্রে করতে পারলে গাছে প্রচুর আম থাকবে।
তথ্যের উৎস :
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭। ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।