ফসল : টমেটো

রোগের নাম : নেতিয়ে পড়া বা ধ্বসা রোগ

রোগের স্থানীয় নাম : নেই

রোগের কারণ : ব্যাকটেরিয়া

ক্ষতির লক্ষণ : গাছের যেকোন বয়সে এ রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছ ঝিমিয়ে ঢলে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের কচি পাতা প্রথমে ঢলে পড়ে কিংবা নীচের বয়স্ক পাতা বিবর্ণ হয়ে যয়। ব্যাকটেরিয়া জীবাণু আক্রমণ করলে গাছ হঠাৎ ঢলে পড়ে। আক্রান্ত গাছেল ডাল কেটে পানিতে রাখলে সাদা কষের মতো তরল পদার্থ বের হতে দেখা যায়। আবার ছত্রাক জীবাণু দিয়ে আক্রমণ হলে প্রথমে গাছের অংশ বিশেষ এবং পরে সমস্ত গাছ ঢলে পড়ে। আক্রান্ত গাছের কাণ্ডের ভেতরের অংশ বাদামী রঙের হয়ে যায়।

ক্ষতির ধরণ : কান্ডের মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। গাছ দুপুরের দিকে পাতা ঝিমিয়ে আসে। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়। আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের মত তরল পদার্থ(ব্যাক্টেরিয়াল উজ)বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে যায়।আক্রান্ত গাছ সকালে সুস্থ দেখালেও বিকেলে ঢলে পড়ে৷

ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : গোঁড়া

ব্যবস্থাপনা :

ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হলে ক্ষেতের মাটিতে বিঘাপ্রতি ২ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে।

পূর্ব-প্রস্তুতি :

রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার। মাটি ও বীজ শোধন। পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ। বন বেগুনের সাথে জোড় কলমকরে চারা রোপন করুন। চারা লাগানোর আগে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: নোইন অথবা ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।

বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বীজতলা বা জমি শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

অন্যান্য :

জমিতে এ রোগ দেখা দিলে অন্ততঃ দুই বছর সেখানে টমেটো, বেগুন, কুমড়া, কপি এসব আবাদ করা উচিত না।

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।