ফসল : পাট
রোগের নাম : শুকনো ক্ষতরোগ বা এনথ্রাকনজ
রোগের স্থানীয় নাম : নেই
রোগের কারণ : ছত্রাক
ক্ষতির ধরণ :
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : চারা , পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড
ব্যবস্থাপনা :
রোগমুক্ত ও সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করলে রোগাক্রমণের সম্ভবনা থাকে না। বপনের পূর্বে পাট বীজ ছত্রাক নাশক দ্বারা শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%) / প্রভেক্স-২০০(০.৪%) ৪ গ্রাম ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা রসুন বাটা ১২৫ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে রোদে শুঁকাতে হবে। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুঁকাতে হবে। পাটের শিকড়,আবর্জনা ও পরিত্যক্ত অংশ একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেললে রোগের উৎস কমে যায়। ফলে রোগ সংক্রমন হ্রাস পায়। পর্যায়ক্রমে ধান অথবা অন্য ফসল চাষ করলে রোগ সংক্রমণ হতে পারে না। অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বর্জন ও পটাশ সার প্রয়োগ করলে রোগ সংক্রমণ কম হয়। যখনই রোগের প্রকোপ দেখা দিবে তখনই ছত্রাক নাশক ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে রোগাক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পরে আক্রমণ বেশি দেখা দিলে ডাইথেন এম-৪৫ অথবা ম্যানার এম-৪৫ অথবা এনডোফিল এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে গাছের গোঁড়ার মাটিতে ২/৩ দিন পর পর স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ২/৩ দিন ছিটিয়ে এ রোগের আক্রমণ কমানো সম্ভব। রোগ প্রতিরোধী জাতের বীজ ব্যবহার করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
সুস্থ,সবল ও নীরোগ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করুন।বীজ বপনের আগে ছত্রাক নাশক দ্বারা বীজ শোধন করা।জমি আগাছা মুক্ত রাখা ও ফসল কাটার পর গোঁড়া,শিকড় অন্যান্য আবর্জনা পুড়ে ফেলা। জমি হতে পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা করা।
তথ্যের উৎস :
কেনাফ, মেস্তা ও পাটের রোগবালাই এবং ব্যবস্থাপনা, ২০০৩, মোঃ মাহবুবুর ইসলাম।