ফসল : পটল
পোকার নাম : পটলের ফলের মাছি পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : নেই
পোকা চেনার উপায় : ৫৭-১০ মিমি লম্বা লালচে বাদামি মাছির ঘাড়ে হ্লুদ দাগযুক্ত রেখা আছে। পাখা সবচ্ছ। পাখার নিচের দিকের কিনারায় কালো দাগ আছে।পেট মোটা, স্ত্রী মাছির পেছনে সরু ও চোখা ডিম পাড়ার সুঁইয়ের মতো নল আছে। ডিম সাদা নলের মতো এবং এক দিকে বাঁকা।
ক্ষতির ধরণ : স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী রং ধারন করে। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝরে যায়।
আক্রমণের পর্যায় : ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা :
আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
জমি পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখুন, উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
অন্যান্য :
কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথম ফুল আসা মাত্র প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে কুমড়াজাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন। আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা জানালা কাটা বোতলে রেখে দিয়ে জমির মাঝে মাঝে ফাঁদ হিসেবে স্থাপন করুন। পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ (যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে মাঝে মাঝে ফাঁদ হিসেবে স্থাপন করুন।
সেক্স ফেরোমন ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বিষটোপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
তথ্যের উৎস :
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭। ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।