ফসল : আম
পোকার নাম : মাছি পোকা
পোকা চেনার উপায় : পূর্ণাঙ্গ পোকার আকার সাধারন মাছির মতোই হয়, পাখা স্বচ্ছ, পা হলুদ, পেট ত্রিকোণাকার ও বাদামি, ঘাড়ের মাঝে লম্বা লম্বি হলদে একটা দাগ আছে।
ক্ষতির ধরণ : আক্রান্ত স্থান থেকে অনেক সময় রস বের হয়। বাইরে থেকে দেখে কোনটি আক্রান্ত আম তা ঝুঝা যায় না। আক্রান্ত পাকা আম কাটলে ভেতের সাদা রঙের কীড়া দেখা যায়। বেশি আক্রান্ত আম অনেক সময় পচে যায়। সাধারণত এ পোকা আমের ওপর এবং নিচ উভয় অংশে আক্রমণ করে।
আক্রমণের পর্যায় : ফল পরিপক্ব
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া
ব্যবস্থাপনা :
কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক যেমন: সেভিন ৫ গ্রাম এর সাথে প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমের রসের সাথে মিশিয়ে বিষটোপ বানিয়ে এ বিষটোপ বাগানে রেখে মাছিপোকা দমন করা যেতে পারে।
বিষটোপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
প্রতি বছর আম পাড়ার পর বাগানের মাটি চাষ দিলে পরবর্তী বছর আক্রমনের সাম্ভাবনা কমে যায়। ফল পাকার আগে পরিপক্ক আবস্থায় পেড়ে ফেলে এই পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অন্যান্য :
আক্রান্ত আম সংগ্রহ করে মাটির নিচে গভীর গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। আম পরিপক্ব ও পাকার মৌসুমে আমবাগানে ব্লিচিং পাউডার প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে। মিথাইল ইউজেনল ফেরোমন ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রচুর পুরুষ পোকা মারা যাবে এবং বাগানে মাছি পোকার আক্রমণ কমে যাবে।
সেক্স ফেরোমন ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
তথ্যের উৎস :
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।