ফসল : পাট

পোকার নাম : কাতরি পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : নেই

পোকা চেনার উপায় : পূর্ণবয়স্ক পোকা একটি ছোট মথ। সামনের ডানার উপরে কালো ফোটা আছে। কিন্তু পিছনের ডানা সাদা।প্রথম অবস্থায় এই মথের কীড়ার রঙ সবুজ এবং মাথা কালো হয়। পূর্ণবয়স্ক কীড়ার রং সবুজ অথবা গোলাপি বাদামী। এদের গায়ে শুঙ্গ থাকে না, লম্বায় এরা ১ইঞ্চি বা ২.৫ সেমি।

ক্ষতির ধরণ : অল্প বয়স্ক কীড়া কুঁড়ি পাতার ভেতর লুকিয়ে থাকে বলেসহজেই চোখে পড়ে না। আক্রান্ত চারা গাছের কচি পাতার উপর পোকার মলের ছোট ছোট কালো রঙের বড়ি এবং ডগার ঝাঁজরা কচি পাতা দেখে এদের আক্রমণ সহজেই চেনা যায়। পূর্ণবয়স্ক কীড়া গাছের মাথার সব পাতাই খেয়ে ফেলে এবং গাছের ডগা পাতাশুন্য করে ফেলে। এতে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে ও গাছের উচ্চতা কমে যায়। ফলে ফলন কমে যায়। এ পোকার আক্রমণে একরে ১.৫ হতে ২ মন পর্যন্ত পাটের ফলন কম হয়। এ পোকা পাটের গৌণ হিসেবে চিহ্নিত। মে থেকে জুন মাসে এদের আক্রমণ দেখা যায়। খরার সময় এদের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা

পোকামাকড় জীবনকাল : কীড়া

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , কচি পাতা

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া , নিম্ফ

ব্যবস্থাপনা :

আক্রান্ত পাতা কীট সহ সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে,ক্ষেতে ডাল পালা পুতে পোকা খাদক পাখি বসার ব্যবস্থা করা,আক্রমণ বেশি হলে ডায়াজিনন ১.৫ মিলি/লিটার পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করা।অথবা কুইনালফস ২০ ইসি, বনুলাক্স ২০ ইসি বা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের যেকোন কীটনাশক ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

আক্রমণ প্রবণ এলাকায় দেরিতে পাট বীজ বপন করে আক্রমণ প্রতিরোধ করা।পাট ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসার সুযোগ করলে এরা পোকা খেয়ে পোকার সংখ্যা কমিয়ে ফেলে।

তথ্যের উৎস :

ফসলের বালাই বাবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, ২য় সংস্কার, ২০১৩। পাট, কেনাফ মেস্তার ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও নিয়ন্ত্রন, কামরুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম, ২০১২।