মুলা এর বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের তথ্য

ফসল : মুলা

বীজ উৎপাদন :

মূলা পর-পরাগী ফসল তাই বীজের বিশুদ্ধতার জন্য ১০০০ মিটার নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। এর মাঝে মূলা/ কপিজাতীয় ফসল যেন না থাকে। কার্তিকের শুরুতে/ অক্টোবর মাঝামাঝিতে বীজের জন্য বুনুন। বোনার ৪০-৪৫ দিন পর বিশুদ্ধতা, আকৃতি, বালাইমুক্ত গাছ বাছাই করে নিন। বাছকৃত মূলার তিন ভাগের এক ভাগ এবং পাতার তিন ভাগের দুই ভাগ কেটে ফেলুন। কাটা অংশে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ডায়থেন এম -৪৫ দ্রবণে ডুবিয়ে নিন। ১০-১৫ দিন পর প্রয়োজনে সেচ দিন। ফুল আসার পর হেক্টর প্রতি ইউরিয়া ১০০ কেজি, এমওপি ১০০ কেজি  এবং ১০-১৫ কেজি বোরিক এসিড/ বোরাক্স জমিতে সমানভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বীজ ফসল যাতে মাটিতে পড়ে না যায় সেজন্য ঠেকনা দিন। জাব পোকা ও পাতায় রোগ দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। বোনার ৫-৬ মাসের মাঝে ফল পেকে গেলে বীজ সংগ্রহ করুন। হেক্টরে ১.৫- ২.০ টন বীজ পেতে পারেন।                               

বীজ সংরক্ষণ:

বীজ কয়েক দিন রোদে শুকিয়ে ৮% আর্দ্রতায় এনে প্লাস্টিক/টিনের কৌটা/ ড্রাম, পলিব্যাগ প্রভৃতি বায়ুরোধী পাত্রে বীজ পূর্ণ করে বায়ুরোধী মুখ আঁটকে সংরক্ষণ করুন। বীজপাত্র অপূর্ণ থাকলে বা  পাত্রের মুখ ভালভাবে না আঁটকালে বীজের গজানোর হার কমে যাবে। বীজ পাত্র চিহ্ন/লেবেল দিয়ে ঘরের ভিটিতে না রেখে শুকনা ও ঠান্ডা স্থানে মাচায় রাখুন।  

তথ্যের উৎস :

কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর,২০১৭।