ফসল : আম
রোগের নাম : এনথ্রাকনোজ বা ফোসকা রোগ
রোগের স্থানীয় নাম : পঁচাড়ি রোগ
রোগের কারণ : ছত্রাক
ক্ষতির ধরণ :
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : ফল , সম্পূর্ণ গাছ
ব্যবস্থাপনা :
মুকুলে আক্রমন প্রতিহত করতে হলে ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন রিডোমিল গোল্ড/ডায়থেন এম -৪৫/ পেনকোজেব / ইন্দোফিল এম-৪১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে) ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। মুকুল ১০-১৫ সে মি লম্বা হলেই প্রথম স্প্রে করতে হবে, এর পর আম মোটর দানার মত হলে আর একবার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশকের সাথে একত্রে ছত্রাক নাশক মিশিয়ে ও স্প্রে করা যায়। বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ( ডায়থেন এম -৪৫/ পেনকোজেব / ইন্দোফিল এম-৪ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে) অথবা কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন- এইমকোজিম ২০ গ্রাম) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ২-৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করুন। গাছ থেকে আম পাড়ার পরেই গরম পানিতে (৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ মিনিট ) ডুবিয়ে রাখার পর শুকিয়ে গুদামজাত করতে হবে, তাহলে আম জীবানুমুক্ত হবে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে থাকলে রোগ মুক্ত হবে।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
আম বড় হওয়ার সময় ঘন ঘন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলে এই রোগ দেখা দেয়ার সাম্ভাবনা থাকে।
অন্যান্য :
আমের মৌসুম শেষে গাছের মরা ডালপালা কেটে পুড়ে ফেলতে হবে। রোগাক্রান্ত পাতা ও ঝরেপড়া ফল সংগ্রহ করে পুড়ে অথবা পুঁতে ফেলতে হবে।
তথ্যের উৎস :
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনা, মোঃ হাসানুর রহমান, দ্বিতীয় সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১৩।