বর্ণনা : জমিতে প্রয়োজন মত সেচ দিতে হবে। আবার অতিরিক্ত সেচ দিলে ঢলে পড়া রোগ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপনা :
সরাসরি বীজ বপনের ক্ষেত্রে - বীজ গজানোর জন্য একটি হালকা সেচ দিতে হয়। চারা গজানোর পর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে সেচ দিতে হবে।
চারা রোপনের ক্ষেত্রে - চারা রোপনের সময় চারার গোড়ায় হালকা সেচ দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে মাদায় পানির অভাব হলে ৮-১০ দিন পরপর মাদার চার দিকে রিং করে সেচ দিতে হবে।
সেচ ও নিকাশ পদ্ধতি :
1 : ফুল ও ফল ধরার সময় জমিতে রস থাকতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
লবণাক্ত এলাকায় সেচ প্রযুক্তি :
কলস সেচ পদ্ধতি - একটি সধারন আকারের মাটির ফলন সংগ্রহ করে তার নিচে ড্রিলমেশিন দ্বারা বল পয়েন্ট কলমের আকারের পরিধি অনুমানিক ২.২ সেমিঃ ছিদ্র করতে হবে এবং ঐ ছিদ্রে দেড় দুই হাত পাট শক্ত করে প্রবিষ্ট করাতে হবে। পাট যুক্ত কলসটিকে মাদার মাঝখানে আমনঅভাবে বসাতে হবে যেন ছিদ্র গুলো ও পাটের আঁশ মাটির নিচে থাকে। কলসের চার পাশে ৩/৪ টি বীজ বপন করতে হবে। তাহলে কলসের চারপাশে চারা গজাবে। কলসের ছিদ্রের সাথে সংযুক্ত পাট ধীরে ধীরে পানি বহন করে নিয়ে গাছের গোড়ায় সরবরাহ করবে। এতে মাদা সবসময় ভিজা থাকবে। ফলে মাটির নিচ স্তর থেকে লবণযুক্ত পানি উপরে উঠে আসবে না এবং এর ফলে মাদা এলাকায় লবণাক্তার পানি কম থাকবে।
তথ্যের উৎস :
দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।