ফসল : আম

পোকার নাম : হপার পোকা

পোকার স্থানীয় নাম : : শোষক পোকা

পোকা চেনার উপায় : গাছের নীচ দিয়ে হাটলে পোকা লাফিয়ে লাফিয়ে গায়ে পড়বে।

ক্ষতির ধরণ : গাছের কচি পাতা ও ডগার রস চুষে খায়। এ পোকা তাদের দেহের ওজন এর ২০ গুন পরিমান রস খেয়ে আঠালো রস দেয় যা মধুরস নামে পরিচিত এবং গাছের মুকুল, পাতা ও কান্ডে এই রস জমা হয়ে থাকে এবং যার উপর এক প্রকার ছত্রাক (শুটি মোল্ড) জন্মায়। এটি মারাত্মক ক্ষতি করে, গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।

আক্রমণের পর্যায় : কুশি, চারা, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , ডগা

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ

ব্যবস্থাপনা :

আমের মুকুল যখন ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হয় তখন প্রথমবার এবং আম যখন মটর দানার মতো আকার ধারণ করে তখন দ্বিতীয়বার সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (রিপকর্ড বা সিমবুস বা ফেনম বা এরিভো ১০ ইসি  ১০ মিলিলিটার ) ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে পুরো গাছে স্প্রে করতে হবে। আমের হপার পোকার কারণে যেহেতু সুটিমোল্ড বা ঝুল রোগের আক্রমণ ঘটে তাই রোগ দমনের সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: কুমুলাস ডিএফ ৪০ গ্রাম ১০ লিটার বা থিওভিট ৪০ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পর পর ২-৩ বার শেষ বিকেলের দিকে স্প্রে করুন।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বালাইনাশক সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

পূর্ব-প্রস্তুতি :

গাছের অতিরিক্ত ডালপালা ছাটাই করে প্রচুর পরিমান আলো বাতাস এর বাবস্থা করতে হবে।

তথ্যের উৎস :

 সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০১৭।