আখ এর বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের তথ্য

ফসল : আখ

বীজ উৎপাদন :

পলিব্যাগ পদ্ধতিঃ

৮-১০ মাস বয়সের রোগবালাইমুক্ত  সংগ্রহের ৪-৫ সপ্তাহ আগে শতেক ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া গাছের গোড়ার চার পাশে মিশিয়ে দিন।  গোড়া শিকড়যুক্ত তিন ভাগের একাংশ বাদ দিন। ধারালো হাসুয়া দিয়ে ২ বা ৩টি চোখের কন্ড করে কাতে বীজ খন্ড তৈরি করে নিন। পলি ব্যাগে চারা তৈরিতে এক চোখ দিয়ে বীজ খন্ড করে  গিঁটে উপরের দিকে ১.৫ সেমি ও নিচের দিকে ৩.০০ সেমি রেখে  বীজ খন্ড ধারালো  অস্র দিয়ে কাটুন। সময় ও ব্যবধান অনুসারে ১১৬.৭-৫৫.৫ হাজার খন্ড /১.২-২.১ টন  পলি ব্যাগে উৎপাদিত চারা ৪০-৬০ দিনে ৪-৫ টি পাতা গজালে খন্ড রোপন করুন। রোপণে দেরি হলে নিচের পাতা কেটে দিন। প্রয়োজনে সেচ দিন। 

বীজতলা পদ্ধতিঃ

বীজখন্ডগুলো বীজতলায় এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে চোখগুলো পাশাপাশি থাকে এবং বীজখন্ডের মাঝে ১ সেমি. (০.৪ ইঞ্চি) পরিমাণ ফাঁকা থাকে।বীজখন্ডগুলো মাটির সামান্য নিচে (১ সেমি) রেখে খড় দিয়ে হালকা ভাবে ঢেকে দিতে হবে। মাঝে মাঝে হালকা সেচ দিন।বীজতলায় ৪ হতে ৫ পাতা বিশিষ্ট হলে চারা জমিতে রোপণ করা যেতে পারে। মূলজমিতে ১৫২২ সেমি( ৬-৯ ইঞ্চি) গভীর নালায় চারা লাগিয়ে তাতে ৩৪ সেমি পুরু করে (১.৫ ইঞ্চি) মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে দিন। চারা বেশি দিন বীজতলায় রাখতে হলে চারার পাতা ছেঁটে দিন।

সমপরিমাণ মাটি ও গোবর সার (৫×৪) ইঞ্চি মাপের পলিব্যাগের অর্ধেক ভরে বীজখণ্ডটি এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন বীজখণ্ডের মাথা পলিব্যাগের উপরিভাগ হতে অর্ধ ইঞ্চি নীচে থাকে। পলিব্যাগের চারা হয়ে গেলে রোদে রাখতে হবে। হেক্টর প্রতি ২৫,০০০ চারার প্রয়োজন হবে।

বীজ সংরক্ষণ:

সাময়িক ভাবে ছায়ায় বীজতলায় সারি করে বীজ রেখে খড়কুটা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

তথ্যের উৎস :

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই), ২৩/০২/২০১৮।