আখ এর বীজ ও বীজতলার তথ্য

ফসল : আখ

বর্ণনা : উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাযুক্ত দো-আঁশ বা কাদা দো-আঁশ মাটি ও সমতল ভুমি নির্বাচন করতে হবে। যেখানে এক মাসের বেশি বৃষ্টির পানি বা বন্যার পানি জমে থাকে এমন নিচু জমি, বালি মাটি বা জলাবদ্ধ মাটি নির্বাচন করা যাবে না।

বীজ ও বীজতলার প্রকারভেদ :

আখ দুই ভাবে চাষ করা যায় । প্রচলিত পদ্ধতিতে এবং রোপা পদ্ধতিতে ।প্রচলিত পদ্ধতিতে  সরাসরি বীজখণ্ড মাঠে বপন করে আখ উৎপাদন করার পদ্ধতিই প্রচলিত পদ্ধতি। 


ভাল বীজ নির্বাচন :

বীজ আখ মুল জমিতে রোপণের আগে ৪৭ ইঞ্চি , ৩-১০মিটার লম্বা ও ৪-৫ ইঞ্চি  উঁচু বীজ তলা তৈরি করুন। প্রয়োজনে ১টন জৈব সার দিন। বীজতলায় খন্ডগুলি পাশাপাশি এবং চোখগুলু উপরের দিকে রাখু্ন এবং ১ ইঞ্চি মাটি দিয় ঢেকে দিন। 

বীজতলা প্রস্তুতকরণ : সাধারণত তিন চোখবিশিষ্ট ইক্ষুবীজ ব্যবহারের মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে ইক্ষু চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রায় ৩০-৪০% অংকুরোদগম হয়।রোপা পদ্ধতি (STP) (Spaced Transplanting) পদ্ধতিতে আখ চাষ প্রচলিত পদ্ধতি থেকে মৌলিকভাবে ভিন্ন। এ পদ্ধতিতে রোপা ধানের মত বিভিন্ন পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে সেই চারা মূল জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে রোপণ করা হয়।


বীজতলা পরিচর্চা : ইক্ষু চাষের জন্য ৮ ইঞ্চি গভীর করে জমি চাষ দিতে হবে। বেশি ভেজা বা বেশি শুকনো কোন জমিই জমি তৈরির জন্য উপযুক্ত নয়।

তথ্যের উৎস :

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই), ২৩/০২/২০১৮।