ধান এর সেচের তথ্য

ফসল : ধান

সেচ ব্যবস্থাপনা :

ধান চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশী পানির প্রয়োজন হয়। রোপা ধানের চারা রোপনের পর ১০-১২ দিন পর্যন্ত ছিপ ছিপ পানি রাখতে হয়, যাতে রোপনকৃত চারায় সহজে নতুন শিকড় গজাতে পারে। থোর অবস্থার পর থেকে ধানের দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে ছিপ ছিপে পানি রাখতে হবে। তবে ধান কাটার ২ সপ্তাহ পূর্ব থেকে সেচ বন্ধ করে দিতে হবে। 

সেচ ও নিকাশ পদ্ধতি :

1 : বোরো মৌসুমে ধান আবাদে পানি সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতির নাম অল্টারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রায়িং বা এ ডব্লিউ ডি। এ পদ্ধতিতে পর্যায়ক্রমে সেচ চলবে জাত ভেদে ৪০-৫০ দিন পর্যন্ত। যখনই গাছে থোর দেখা দিবে তখন থেকে দানা শক্ত হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত ক্ষেতে স্বাভাবিক ২-৫ সেমিঃ ( ০.৮ - ০.৯ ইঞ্চি ) পানি রাখতে হবে। এ পদ্ধতিতে সেচ দিলে দাঁড়ানো পানি রাখার চেয়ে ৪-৫ টি সেচ কম লাগে। আমন ধানে সাধারণত সেচ লাগে না। বৃষ্টি নির্ভর ধান চাষে সাময়িক ভাবে বৃষ্টির অভাবে খরা দেখা দিলে নিকটস্থ গভীর অথবা অগভীর নলকূপ হতে সম্পূরক সেচ দিতে হবে। তাছাড়া নিকটস্থ খাল- বিল, নদী-নালা, পুকুর-ডোবা থেকে ১/২ টি সেচ দিতে হবে। চারা অবস্থায় অতিবৃষ্টি হলে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ধান পাকার সময় দানা শক্ত হওয়া শুরু হলেই জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।


লবণাক্ত এলাকায় সেচ প্রযুক্তি :

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত এলাকায় খরিপ মৌসুমে কৃষকেরা শুধুমাত্র বৃষ্টিপাত নির্ভরশীল আমন ধানের আবাদ করে থাকে। উক্ত এলাকায় রবি ও খরিফ মৌসুমে যখন মাটিতে লবণাক্ততার পরিমান বাড়ে সে সময়ে লবনাক্ততা দূর করার জন্য ফসলের সেচের চাহিদার অতিরিক্ত নিদিষ্ট স্বাদু পানি বা মৃদু লবনাক্ত পানি প্রয়োগ করে মাটির লবনাক্ততা কমিয়ে রবি ও খরিফ ১ মৌসুমে বাড়তি ২ টি ফসল উৎপাদন করা যায়।

তথ্যের উৎস :

আধুনিক ধানের চাষ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), ২০তম সংস্করণ, জুন-২০১৭

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস), ১২/০২/২০১৮